হাদীস নম্বর ৫– হযরত সায়াদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি মদিনা বাসীদের ক্ষতি ও অনিষ্টসাধনের উদ্দেশ্যে ফন্দি আঁটবে, সে অনিবার্যতঃ এরূপ ধ্বংস হবে যেরূপ লবন জলের মধ্যে গলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।’’
তথ্যসূত্র –
১। সহীহ মুসলীম, খন্ড নং ২, পৃষ্ঠা নং ১০০৭, হাদীস নং ১৩৮৬
২। ইবনে মাজা, সুনান, খন্ড নং ২, পৃষ্ঠা নং ১০৩৯, হাদীস নং ৩১১৪ ৩। আহমাদ বিন হাম্বাল, মুসনাদ, খন্ড নং ২, পৃষ্ঠা নং ২৯৭, ৩০৯, ৩৫৭ ৪। আবদুর রাযযাক, মুসান্নাফ, খন্ড নং ৯, পৃষ্ঠা নং ২৬৪, হাদীস নং ১৭১৫৫, ১৭১৫৭
৫। ইবনে হিব্বান, সহীহ, খন্ড নং ৯, পৃষ্ঠা নং ৫৪, হাদীস নং ৩৭৩৭
হাদীস নম্বর ৬– হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, ‘‘এই সীমা (‘আয়ের’ নামক পাহাড়) থেকে ঐ সীমা (‘ছত্তর’ নামক পাহাড়) পর্যন্ত মদিনা হল ‘হারম’। এই স্থানে কোন বৃক্ষ কাটা যাবে না এবং কোন অপরাধ সংঘটিত করা যাবে না। যে ব্যক্তি এখানে অপরাধ সংঘটিত করবে তার উপর আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাবর্গ এবং সমগ্র মানবজাতির অভিশাপ।’’
তথ্যসূত্র- ১। সহীহ বুখারী, খন্ড নং ২, পৃষ্ঠা নং ৬৬১, হাদীস নং ১৭৬৮ ২। সহীহ মুসলীম, খন্ড নং ২, পৃষ্ঠা নং ৯৯৯, হাদীস নং ১৩৭১
৩। আহমাদ বিন হাম্বল, মুসনাদ, খন্ড নং ২, পৃষ্ঠা নং ৫২৬,
হাদীস নং ১০৮১৬
৪। বাইহাকী, আস্ সুনানুল কুবরা, খন্ড নং ৫, পৃষ্ঠা নং ১৯৭,
হাদীস নং ৯৭৩৯
হাদীস নম্বর ৭ – হযরত জাবের বিন আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘মদিনায় লড়াই করার উদ্দেশ্যে কোন মানুষের জন্য অস্ত্র ধারন বৈধনয়।’’
তথ্যসূত্র –
১। আবু দাউদ, সুনান, খন্ড নং ২, পৃষ্ঠা নং ২১৬, হাদীস নং ২০৩৫
২। আহমেদ বিন হাম্বল, মুসনাদ, খন্ড নং ৩, পৃষ্ঠা নং ৩৪৭, ৩৯৩
হাদীস নম্বর ৮– হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি মদিনাবাসীকে আতঙ্কিত করবে, আল্লাহ পাক তাকে (কিয়ামতের দিনে) আতঙ্কিত করবেন।’’
তথ্যসূত্র –
১। ইবনে হিব্বান, সহীহ, খন্ড নং ৯, পৃষ্ঠা নং ৫৫, হাদীস নং ৩৭৩৮
২। আহমাদ বিন হাম্বল, মুসনাদ, খন্ড নং ৪, পৃষ্ঠা নং ৫৫, ৫৬
৩। নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা, খন্ড নং ২, পৃষ্ঠা নং ৪৮৩,
হাদীস নং ৪২৫৬
৪। আবদুর রাযযাক, মুসান্নাফ, খন্ড নং ৯, পৃষ্ঠা নং ২৬৪
৫। তাবারানী-আল মুয়জামুল কাবীর, খন্ড নং ৭, পৃষ্ঠা নং ১৪৩, হাদীস নং ৬৬৩১
হাদীস নম্বর ৯– হযরত ইবাদাহ বিন স্বমিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘ হে আল্লাহ ! যে ব্যক্তি মদিনাবাসীদের উপর অত্যাচার করে অথবা ভীতি প্রদর্শন করে, তুমি তাকে ভীতি প্রদর্শন করো এবং তার উপর আল্লাহ, ফেরেশতাবর্গ এবং সকল লোকের লানাত বর্ষিত হউক। আল্লাহ পাক তার ফরজ আমলও কবুল করবেন না এবং নফল আমলও কবুল করবেন না।’’
তথ্যসূত্র ঃ-
১। তাবারানী, আল মুয়জামুল কাবীর, খন্ড নং ৭, পৃষ্ঠা নং ১৪৪
হাদীস নং ৬৬৩৬
২। দায়লামী – আল ফিরদৌস, খন্ড নং ১, পৃষ্ঠা নং ৫০৫, হাদীস নং ২০৬৭
৩। মাকদাসী, আল আহদীমুল মুখতারাহ, খন্ড নং ৮, পৃষ্ঠা নং ৩৩০, হাদীস নং ৩৩৯
৪। মানজারি, আত তারগীব ওয়াত তারহীব, খন্ড নং ২, পৃষ্ঠা নং ১৫২৩, হাদীস নং ১৮৯১।
হাদীস নম্বর ১০– রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘কোন ব্যক্তি এখানকার বৃক্ষছেদন করার সময় গ্রেফতার হলে, তার জিনিসপত্রের অধিকারী হবে গ্রেফতারকারী ব্যক্তি।”
তথ্যসূত্র – বাইহাকী, আস্ সুনানুল কুবরা, খন্ড নং ৫, পৃষ্ঠা নং ১৯৯
হাদীস নম্বর ১১ – ‘‘এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক নির্ধারিত ‘হারমে’ পশু শিকার করছিল। হযরত সায়াদ বিন আক্কাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এ ব্যক্তির দ্রব্যাদি কেড়ে নিলেন। শিকারী অন্য ব্যক্তির গুলাম ছিল। শিকারী ব্যক্তির মালিক সায়াদ বিন আক্কাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু -এর নিকটে এসে তার গুলামের দ্রব্যাদি ফেরৎ চাইলেন। হযরত সায়াদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনাকে ‘হারম’ এ রূপান্তরিত করেছেন এবং নির্দেশ প্রদান করেছেন যে, এর পরিসীমার মধ্যে কাউকে শিকার করতে দেখলে তার জিনিসপত্র কেড়ে নিও, ঐ জিনিসপত্র তোমার অধিকার ভুক্ত হবে। আমি যে জিনিসগুলি নিজের নিয়ন্ত্রনে গ্রহন করেছি, এগুলো তো রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপহার বলেছেন। তাহলে এগুলো আমি ফিরিয়ে দিই কিভাবে ? হ্যাঁ, চাইলে আমি এগুলো মূল্য প্রদান করতে পারি।’’
তথ্যসূত্র – সামহুদি, ওয়াফা-উল-ওয়াফা, খন্ড নং ১, পৃষ্ঠা নং ১০৫, ১০৬